ধর্ষণ, দিনে দিনে যেন বেড়েই চলেছে এর ভয়াবহতা। কোন ভাবেই যেন এর কোন নিস্পত্তি খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। বরং মেয়েরা অনেকটাই যেন অসহায় এই নিকৃষ্ট কাজের কাছে। তবে এবার ঢাকার রাস্তায় ধরা হয়েছে এক ধর্ষককে।
ধর্ষণের চেষ্টায় থাকা ওই ব্যক্তির নাম রনি। তেজগাঁও জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ বলেছেন, অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।
আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে ঐ তরুন পুলিশকে জানিয়েছে ভিন্ন কথা। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী সংসদ ভবনের পাশে খেজুর বাগান এলাকা থেকে দুই তরুনীকে গাড়িতে তুলেন তারা। কলেজ গেটের সামনে এক তরুনীকে নামিয়ে দেওয়ার সময় হট্টগোল হয়। এসময় প্রর্ত্যক্ষদর্শীরা গাড়ি আটক করে তাদের মারধোর করে। এবং পুলিশে দেয়।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে ভুক্তোভোগিরা এখনও থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। তাদের খোঁজা হচ্ছে। অভিযোগ পেলেই মামলা করা হবে। আর যদি তাদের না পাওয়া যায় আইন অনুযায়ী রনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
শনিবার দিবাগত রাতে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সামনে এই ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, একটু গভীর রাতেই ঘটনাটি ঘটেছে। কারণ সে সময় আশপাশের ওষুধের দোকান ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ ছিল।
মেয়েটিকে উদ্ধারকর্তা তরুণদের একজন ভিডিও করে সেটি ফেসবুকে ছড়িয়েছেন। আর ঘটনার বর্ণনাও তিনি দিয়েছেন।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি ভিডিও সহ স্ট্যাটাসে লিখেন, আজ অফিস থেকে ফেরার পথে মোহাম্মদপুর, কলেজ গেট সিগনালে ঠিক আমার সামনের গাড়িটাতে লক্ষ্য করে দেখি ভেতরে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে ধস্তা-ধস্তি করছে এবং গাড়ির ড্রাইভার এর গাড়ি চালানোর ভঙ্গিমা দেখে মনে হচ্ছিলো যে সে গাড়িটা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে । তবে দুর্ভাগ্য তাদের, রাস্তায় তীব্র জ্যাম থাকায় গাড়িটি বেশি দূর যেতে পারেনি । এমতাবস্তায় আমি আমার গাড়ি থেকে নেমে সামনে যেতে যেতে দেখি আরো কিছু লোক গাড়িটির দিকে লক্ষ্য করে এগুচ্ছে । তখনও ভাবতে পারিনি এতটা নিচ ও নিকৃষ্ট ঘটনার চাক্ষুষ প্রমান হতে যাচ্ছি ।
আমি গাড়িটির কাচ্ছে যেতেই দেখি ছেলেটি মেয়েটিকে ধর্ষণ করচ্ছে । গাড়ির দরজা খুলে প্রথমে আমরা মেয়েটিকে বাইরে বের করে নিয়ে আসি পরে অপর পাশের দরজা খুলতেই দেখি অতিপরিচিত সেই ছেলেটি অর্থাৎ বড়লোক বাবার বখে যাওয়া নষ্ট সন্তান । ছেলেটিকে বাইরে বের করতে গিয়ে সহ্য করতে হয়েছে বাজে মদের গন্ধ ।
আর নিজেকে সামলাতে পারলাম না, অতঃপর বসিয়ে দিলাম ওই জানোয়ারের কানের নিচে আমার বাম হাতের পাঁচ আংগুলের চিহ্ন । এরপর ক্ষুব্ধ জনতা চিলের মতো করে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে তাদের বাকি দায়িত্ব পালন করলো। পরে মেয়েটির কাছ থেকে জানতে পারলাম , ওই নর-পিচাশটা মেয়েটিকে রাস্তা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে এসেছে।